বৃহস্পতিবার সকাল ১০:০২, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

করোনা ঠেকাতে সৌদি আরবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

আবির হোসাইন জসিম

করোনাভাইরাস ঠেকাতে আজ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব।দেশটির তেলসমৃদ্ধ কাতিফপ্রদেশটি গতকাল রোববার থেকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কারণ দেশটিতে শনাক্ত হওয়া ১৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের বেশিরভাগই রয়েছেন এই প্রদেশে। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।

সৌদিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন- যিনি ইতালি ও ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত ও মিসর।

শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত কাতিফপ্রদেশে চারজনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কারণে সেখানে সব কর্মকাণ্ড বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির দুটি মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, এতে তেল উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।

ধারণা করা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত কাতিফে এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি করতে পারে। সুন্নিনিয়ন্ত্রিত সৌদি সরকারের সঙ্গে শিয়া সংখ্যালঘুদের বিবাদের অন্যতম অংশ কাতিফ, যেখানে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সরকার।

ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাতিফে চলাচল সীমিত করা হলেও বাসিন্দারা ঘরে ফেরার এবং বাণিজ্যিক সরবরাহ চালাতে পারবে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, কাতিফে সিমেন্টের তৈরি ব্লক দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে এবং কর্মকাণ্ড স্থগিত ঘোষণার পর মুদি দোকানে ব্যাপকহারে কেনাকাটা করেছেন বাসিন্দারা। সৌদি কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল যে, আক্রান্তরা হয় ইরান কিংবা ইরাক ভ্রমণ করেছেন কিংবা যারা ওই দেশগুলো ভ্রমণের পর আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের সংস্পর্শে এসেছে।

আজ আক্রান্তদের মধ্যে মার্কিন পর্যটককে রিয়াদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন এক সৌদি নাগরিক, যিনি কাতিফে অন্য এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হন এবং বাহরাইনের দুই নারী যারা সম্প্রতি ইরাক থেকে ফিরেছেন। এদিকে, ১৪ দেশের পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কাতার।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  বিশ্ব,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply