বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩৭, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং

অংশগ্রহণমূলক লেখা চাই, লেখক-পাঠক একাত্ম

দেশ দর্শন

লেখকের কাজ শুধু সমস্যা চিহ্নিত করা ও সমাধান নির্দেশ করা নয়, সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের যোগ্য মানুষ গড়ে তোলা এবং নিজেও তাতে অংশ নেয়া অপরিহার্য। তা না হলে এমনকি লেখাও পূর্ণতা পায় না, বাস্তবতা দূরের কথা।

 

 সম্পাদকীয়, নীতি ও ঘোষণা

শুধু লেখা নয়, আমরা লেখককেও চাই। শখের বশে, যশ-খ্যাতির লোভে কিংবা শুধুই পেটের দায়ে লেখা, জীবনভর লিখে লিখে লেখাকে কেবল ‘পেশা’ বানিয়ে লেখার প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদার হানি করা, একপেশে ও গতানুগতিক ধারায় গাদা গাদা লিখে নতুন প্রজন্মের মেধা-মননে অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ সৃষ্টি করা এবং ‘লেখক’ হিসেবে আলাদা জীবন যাপন করে সমাজের অন্যান্য মৌলিক ধারা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার আমরা পক্ষপাতী নই।

আমাদের মনে রাখতে হবে, লেখকের কাজ শুধু সমস্যা চিহ্নিত করা ও সমাধান নির্দেশ করা নয়, সেই নির্দেশ বাস্তবায়নের যোগ্য মানুষ গড়ে তোলা এবং নিজেও তাতে অংশ নেয়া অপরিহার্য। তা না হলে এমনকি লেখাও পূর্ণতা পায় না, বাস্তবতা দূরের কথা।

অংশগ্রহণমূলক লেখা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, একটি নিরন্তর সংগ্রাম। অন্তরের গভীর থেকে, বিবেকের পরম দায়িত্ববোধ থেকে, ন্যায়-নীতি ও আদর্শিক চেতনা থেকে লেখা এবং লিখিত বিষয়ের সঙ্গে লেখক একাত্ম হয়ে সমাজের কল্যাণমূলক কাজে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। সেদিক থেকে আমরা ব্যাপক পাঠকসমাজকেও লেখক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে আমাদের অতিরিক্ত চেষ্টা থাকবে। এখানে লেখার ক্ষেত্রে যে কোনো পরামর্শ ও সহযোগিতা পেতে নির্দ্বিধায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

সম্পাদকমণ্ডলী, কর্তৃপক্ষ, লেখক, পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, সবাই এখানে একাকার, এক পরিবার। সব দায়িত্ব আমরা সবাই মিলেমিশে ‘এক’ হয়ে করি ও করব। সবাই সবার কাজেই কমবেশি অংশ নিতে চেষ্টা করব। কাউকে আলাদা করে দেখব না- এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

ক্যাটাগরি: প্রধান কলাম,  সম্পাদকীয়

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply