শুক্রবার দুপুর ১২:৪৯, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

পবিত্র আশুরার পটভূমি ও শিক্ষা 

৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ফিরে এলো আজ সেই মুহাররম মাহিনা,
ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহিনা’
(কাজী নজরুল ইসলাম)।

হিজরি ৬১ সনের এই দিনে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হন। আশুরা’ শব্দের অর্থ দশম বা দশমী। ‘আশুরা’ শব্দটির তাৎপর্য এভাবে বর্ণিত হয়েছে ‘আশুরা’ শব্দটি ছিল ‘আশানুরা’ অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ মহান দিনের মর্যাদা রক্ষা করবে সে নূরানি জীবন লাভ করবে। অতঃপর ‘আশানুরা’র ‘নুন’ অক্ষরটি বাদ দিয়ে বাক্যটি সহজ করা হয় ‘আশারা’ বা ‘আশুরা’। মুহাররম মাসের দশম তারিখ ইতিহাসে ‘আশুরা’ নামে অভিহিত।

প্রাচীন কালের নানা জনগোষ্ঠীর নিকট ‘আশুরা’ পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ। কারো কারো মতে, এ দিনে আল্লাহ পাক ১০ জন পয়গম্বরকে তাঁর ১০টি অনুগ্রহ ও বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন বলে এটিকে ‘আশুরা’ বলা হয়।অন্য কথায় বলতে গেলে—এ মাসের ১০ তারিখ ১০টি বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কারণেও এ তারিখকে আশুরা বলা হয়। সৃষ্টির পর থেকে আশুরার দিনে অনেক তাৎপর্যমণ্ডিত ঘটনা ঘটেছে বিধায় এই দিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক বেশি। এ কারণে মহররম মাসও গুরুত্বপূর্ণ।

হাদিস শরিফে চান্দ্রবর্ষের ১২ মাসের মধ্যে মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা আল্লাহর মাস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কালামে পাকেও মহররম মাসকে অতি সম্মানিত মাস বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা তাওবার ৩৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে মাস গণনায় মাস ১২টি, তন্মধ্যে চারটি মাস নিষিদ্ধ মাস, এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।

আশুরার দিনের ঐতিহাসিক ১০টি ঘটনাঃ

১. হযরত ইকরামার (রা.) বর্ণনামতে হযরত আদম (আ.) এর দোয়া আল্লাহ তায়ালা আশুরার দিনে কবুল করেছেন এবং ঐদিন তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেছেন। ঐ দিনই তিনি দুনিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছেন।

২. এই দিন হযরত ইবরাহিম (আ.) জন্ম লাভ করেন।

৩. হযরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে এদিন মুক্তি লাভ করেন।হযরত ইউসুফকে (আ.) কুপ থেকে বের করা হয় আশুরার দিনে।

৪. হযরত নূহ (আ.) এর কিস্তি (নৌকা) মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি লাভ করে জুদী পর্বতে এসে অবতরণ করে আশুরার দিনে।

৫. হযরত আইয়ুব (আ.) তার জটিল রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেন পবিত্র আশুরার দিনে।

৬. হযরত মুসাকে (আ.) আল্লাহ তায়ালা এই দিনে ফেরআউনের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন। নীলনদের বুকে তার জন্য রাস্তা করে দিয়েছেন এবং ফেরআউনের সেনাবাহিনীকে ডুবিয়ে মেরেছেন।

৭. হযরত দাউদ (আ.) এর তাওবা কবুল হয় এবং ইয়াকুব (আ.) কে দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেয়া হয় পবিত্র আশুরার দিনে।

৮. হযরত ঈসা (আ.) আল্লাহর অসীম কুদরতে পিতার ঔরশ ব্যতীত মাতৃগর্ভ হতে জন্মলাভ করেন এবং এই দিনই তাকে বনি ইসরাইল এর হাত থেকে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়।

৯. রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আগের-পরের সব ভুলত্রুটি মাফ করে দেওয়া হয় পবিত্র আশুরার দিনে। ঐ দিন হযরত সুলাইমান (আ.) সাম্রাজ্যের রাজত্ব লাভ করেন। হযরত ইদ্রিস (আ.) জান্নাতে প্রবেশাধিকার লাভ করেন

১০.নবী মুহাম্মদ -এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন এই দিন কারবালার ময়দানে ইয়েজিদের সৈন্যদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন।

আশুরার ঐতিহাসিক পটভূমিঃ
এপ্রিল ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ, মুয়াবিয়া কর্তৃক ইয়াজিদকে খলিফা ঘোষণা করা হয়।
ইয়াজিদ মদিনার গর্ভনরকে তাৎক্ষণিকভাবে হুসাইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আনুগত্য ( বায়াত) আদয়ের জন্য নিদের্শ দেয়। কিন্তু

হুসাইন ইবনে আলী তা প্রত্যাখ্যান করে। কারণ, তিনি মনে করতেন যে, ইয়াজিদ ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে এবং মুহাম্মদের সুন্নাহকে পরিবর্তন করছে। অতঃপর হুসাইন ইবনে আলী তাঁর পরিবারের সদস্য, সন্তান, ভাই এবং হাসানের পুত্রদের নিয়ে মদিনা থেকে মক্কায় চলে যান।

পড়ুন> লেখকের সব লেখা

অপরদিকে কুফাবাসী যারা মুয়াবিয়ার মৃত্যু সম্পর্কে অবগত ছিল তারা চিঠির মাধ্যমে তাঁদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য হুসাইনকে অনুরোধ করেন এবং উমাইয়াদের বিপক্ষে তাঁকে সমর্থন প্রদান করে। প্রত্যুত্তরে হুসাইন চিঠির মাধ্যমে জানান যে অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য তিনি মুসলিম ইবনে আকীল কে পাঠাবেন। যদি তিনি তাদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে পান যেভাবে চিঠিতে বর্ণিত হয়েছে সেরুপ তবে খুবই দ্রুতই যোগ দিবেন, কারণ একজন ইমামের দায়িত্ব হচ্ছে কুরআন বর্ণিত অনুসারে কাজের আঞ্জাম দেওয়া, ন্যায়বিচার সমুন্নত করা, সত্য প্রতিষ্ঠিত করা এবং নিজেকে স্রষ্টার নিকট সঁপে দেওয়া।

মুসলিম ইবনে আকীলের প্রাথমিক মিশন খুবই সফল ছিল এবং ১৮০০ এর অধিক ব্যক্তি শপথ প্রদান করেছিল। কিন্তু অবস্থা ইতিমধ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়। উবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদ কুফার নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দেন এবং মুসলিম ইবনে আকীলকে হত্যার নির্দেশ জারি করেন। আকীলের মৃত্যু খবর পৌঁছার আগেই হুসাইন ইবনে আলী কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা আরম্ভ করে দেন। পথিমধ্যে হুসাইন খবর পান যে আকীলকে কুফায় হত্যা করা হয়েছে। তিনি খবরটি তাঁর সমর্থকদের জানালেন এবং তাদের বললেন যে জনগণ তাঁর সাথে প্রতারণা করেছে। তিনি কোন সংশয় ছাড়াই তাঁর সাথীদের তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে বললেন। অধিকাংশ সঙ্গী তাঁকে ছেড়ে চলে যায় নিকটাত্মীয়রা ছাড়া।

যা হোক, কুফার যাত্রাপথে উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের সাথে তাঁকে (হুসাইন) মোকাবেলা করতে হয়। কুফাবাসীগণ ইমামবিহীন থাকার কারণে তাঁকে (হুসাইন) আমন্ত্রণ করেছিল সে প্রতিশ্রুতির কথা কুফার সেনাবাহিনীকে স্মরণ করতে বললেন। তিনি বললেন যে, কুফাবাসী সমর্থন করেছিলো বলেই তিনি যাত্রা করেছেন। কিন্তু তারা যদি তাঁর (হুসাইন) আগমনকে অপছন্দ করে তবে তিনি (হুসাইন) যেখান থেকে এসেছেন সেখানে চলে যাবেন। তবে সেনাবাহিনী তাঁকে (হুসাইন) অন্য পথ অবলম্বন করতে বললেন। এতে করে, তিনি (হুসাইন) বাম দিকে যাত্রা করলেন এবং কারবালায় পৌঁছে গেলেন।সেনাবাহিনী তাঁকে (হুসাইন) এমন এক জায়গায় অবস্থান নিতে বাধ্য করল যে জায়গাটি ছিল পানিশূন্য।

সেনাপ্রধান উমার ইবনে সাদ হুসাইনের আগমনের উদ্দেশ্য বুঝার জন্য দূত প্রেরণ করলেন। হুসাইন জানালেন, তিনি কুফাবাসীর আমন্ত্রণে এসেছেনG কিন্তু তারা যদি অপছন্দ করে তবে তিনি ফিরে যেতে প্রস্তুত রয়েছেন। যখন এই প্রতিবেদন ইবনে জিয়াদের কাছে পৌছল তখন তিনি সাদকে হুসাইন ও তাঁর সমর্থকদের ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্য আদয়ের নির্দেশ দিলেন। তিনি এও নির্দেশ দিলেন যে, হুসাইন ও তাঁর সঙ্গীরা যাতে কোন পানি না পায়। পরের দিন সকালে উমার বিন সাদ তার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন। আল হুর ইবনে ইয়াজিদ আল তামিম সাদের দল ত্যাগ করে হুসাইনের সাথে যোগ দিলেন। তিনি কুফাবাসীদের বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে নবীর নাতীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ভৎসর্ণা করলেন। অতঃপর যুদ্ধে তিনি নিহত হন।

বাতিলের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামী সিপাহসালার লৌহমানব হকের স্বপক্ষে সিংহ পুরুষ ইমাম হুসাইন (রা.) সিংহের ন্যায় গর্জে ওঠে বললেন, সত্য যদি মিথ্যার কাছে মাথানত করে, তাহলে দুনিয়ার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে কে? বাধ্য হয়ে তিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। ৬১ হিজরির ১০ই মুহাররম ফুরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে দু’দল সৈন্য বাহিনী মুখোমুখি। একদল ইমাম হুসাইনের সৈন্য সংখ্যা মাত্র ৭০ জন।

অপরপক্ষে ইয়াজিদ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ৪ হাজার। শত্রুপক্ষ দ্বারা ইমাম হুসাইন (রা.) ও তাঁর বাহিনী চতুর্দিকে বেষ্টিত হয়ে পড়েন। ফুরাতে পানি থৈ থৈ করলেও শত্রুদের বাধার কারণে কারবালা মাঠে এক ফোঁটা পানিও নেই। যুদ্ধই যখন অনিবার্য তখন এর পূর্ব মুহূর্তে ইমাম হুসাইন (রা.) কুফাবাসীদের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন, হে কুফাবাসীরা! স্মরণ রেখো আমি আখেরি নবীর প্রিয় দৌহিত্র, হযরত আলী (রা.) এর আদরের দুলাল, বিশ্ব জননী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা (রা.) আমার মা। আমাদের দুই ভাইকে রাসূল (সা.) জান্নাতি যুবকদের সর্দার ঘোষণা করেছেন। তোমরা সত্য করে বলো, তোমরা কি আমাকে পত্র দিয়ে আহবান করনি? তোমরা কোন সাহসে আজ আমাকে হত্যা করতে উদ্ধত হলে?

তিনি আবেগের কণ্ঠে আরো বলেন, ‘তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে সুলিম বলে দাবি করছ। অথচ আমার একটি অপরাধ আমি ইয়াজিদের মতো একজন গোমরাহ জালিম ব্যক্তিকে মুসলিমদের আমীর বলে স্বীকার করতে পারছিনা। তাই সেই অপরাধে আজ তোমরা আমার রক্ত পান করতে যাচ্ছ।’ ইমামের এই ভাষণ ইয়াজিদ বাহিনীর মনে কোনো রেখাপাত করল না বরং যুদ্ধ শুরু হল।

কারবালার যুদ্ধ সকাল থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। দিনটি ছিল ১০ ই অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ (মুহাররম ১০, ৬১ হিজরি) এই যুদ্ধে প্রায় ৭২ জন নিহত হন যাদের সকলেই পানি বঞ্চনার শিকার হন। অর্থাৎ সকল পুরুষ সদস্যই নিহত হন কেবলমাত্র রোগা ও দুর্বল জয়নুল আবেদিন ছাড়া।

এটি এক অসম যুদ্ধ ছিল। যেখানে হুসাইন ও তাঁর পরিবার বিশাল এক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীন হন। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আবু রায়হান আল বিন্নী এর মতে, “তাবুগুলোতে আঙুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং মৃতদেহগুলোকে ঘোড়ার খুড় দ্বারা ক্ষতবিক্ষত ও পদদলিত করা হয়; মানব ইতিহাসে কেউ এমন নৃশংসতা দেখেনি। হত্যার আগমুহূর্তে হুসাইন বলেন, “ আমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যদি মুহাম্মদের দ্বীন জীবন্ত হয়, তবে আমাকে তরবারি দ্বারা টুকরো টুকরো করে ফেল।”

উমাইয়া সৈন্যরা হুসাইন ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীদের হত্যা করার পর সম্পদ লুট করে, মহিলাদে গয়না কেড়ে নেয়। শিমার জয়নাল আবেদীনকে হত্যা করতে চাইলে জয়নাব বিনতে আলী এর প্রচেষ্টায় কমান্ডার উমার ইবনে সাদ তাঁকে জীবিত রাখেন। তাঁকেও (জয়নাল আবেদীন) বন্দী নারীদের সাথে দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে নিয়ে যাওয়া হয়। [মূল নিবন্ধ: কারবালার যুদ্ধ]

আশুরার শিক্ষা:
১. আশুরার দিনটি মূলত বাতিলের পরাজয় এবং সত্যপন্থী, হকপন্থীদের বিজয় ও মুক্তির দিবস।
২. নবী ও তাঁদের অনুসারীগণের ইতিহাস স্মরণপূর্বক আল্লাহর বিধান পালন ও বাস্তবায়নে অবিচলতা, দৃঢ়তা ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা যথার্থমানের হতে হবে। তাহলে এখনো আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সব বাতিল শক্তির মোকাবেলায় মুসলিমদের বিজয়ী করবেন।

৩. ঈমান-আকিদাবিরোধী সব কার্যকলাপ বন্ধ করতে সচেষ্ট হতে হবে।
৪. মুসলিম নামধারী হয়েও যারা ইয়াজিদ, ইবনে জিয়াদ ও শিমারের ভূমিকা পালন করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

৫. ইসলাম সম্পর্কে যারা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে তাদেরকে সঠিক ধারণা প্রদান করতে হবে এবং ইসলামের সুমহান আদর্শের দিকে সবাইকে আহ্বান জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে নিজেদের কুরআন-হাদিস ও ইসলামি সাহিত্য নিয়মিত অধ্যয়ন ও চর্চার দ্বারা ইসলামের যথার্থ জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
৬. সুস্থ ও মননশীল সংস্কৃতিচর্চা ও প্রচারের মাধ্যমে অপসংস্কৃতির বিভীষিকা রোধ করতে হবে।
৭. সত্য ও ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বাতিলের মোকাবেলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
৮. আল্লাহর সন্তুষ্টি ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব কাজে ত্যাগ এবং কোরবানির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

৯. সুযোগ থাকার পরও যেমন হুসাইন রা:-এর সাথীরা তাকে ছেড়ে না গিয়ে তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সাথে থেকেছেন তেমনি আমাদেরও উচিত সত্যপন্থীদের সমর্থন, সহযোগিতা ও সাথে থাকা।
১০. ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সার্বিক সফলতা অর্জনের জন্য নিজেরা নেক আমল করা, সর্বপর্যায়ে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন এবং খোদাভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

লেখক: এস এম শাহনূর
কবি ও গবেষক

Some text

ক্যাটাগরি: ধর্ম

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি