শুক্রবার বিকাল ৩:৫৬, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ. ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

শতবর্ষী বিদ্যাপীঠে একটি পুনর্মিলনীর জন্য…

৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

অনেক কিছুই বদলে গেছে, স্কুলের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। পরিবর্তন ও বদলে যাওয়া হয়তো সময়ের দাবী। এটা দেখেও খারাপ লাগে। ভাল লাগে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলে। তবে স্কুল ভবনটি এখনো রয়ে গেছে। সেখানে স্মৃতি খুঁজে ফিরি আমিও।

এই বিদ্যালয় নারীশিক্ষার জন্যও ছিল অনন্য। অনেকের সাথে কথা বলে দেখেছি চোঁখের কোণে আবেগের জল। আক্ষেপও রয়েছে অনেকের। স্কুল থেকে অনেক গুণীজন বের হয়েছেন। অনেক শিক্ষকের, অনেক কৃতী শিক্ষার্থীর স্মৃতিচিহ্ন থাকতে পারত এ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। আমাদের স্কুলের সুন্দর একটি মাঠ ছিল। বাগান ছিল। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ছিল।কিন্তু (মনে হয়) এখন সেখানে কী যেন নেই। এটা খুব কষ্ট দেয়। এ বিদ্যালয় পরম ভালোবাসায়,কী যেন কী বলতে চায় অভিমানে…

দেশ বিদেশের যেথায় যেবা থাক
তোমাদের সরব গর্বিত পদচারণ
আমাকে ভাসায় মধুরানন্দ বানে
বিদ্যাদেবী কযহস মাকে মনে রেখ।

চলুন না, একদিন সবাই মিলে বিদ্যাদেবী কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়কে দেখে আসি। পুরোনো বন্ধুদের পেয়ে অনেক ভালো লাগবে। খুব আনন্দ হইচইয়ে কেটে যাবে সময়। শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবখানে থাকবে সাবলীল ভাব। নেচেগেয়ে মাতিয়ে রাখবো নিজের সহপাঠীদের। শত কণ্ঠে থাকবে নস্টালজিয়া, অনেক বন্ধুকে এক সাথে পাওয়া যাবে। আবার অনেকে হয়তো কোন কারণে আসতে পারবেনা।কারণ,সে আর এ জগতে থাকেনা,অভিমানে চলে গেছে পরপারে। তবু ভালো লাগবে তাদের স্মৃতিচারণ করে। একই ধরনের কথা বলবে প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীরা। বাঁধভাঙা উল্লাসে সমস্বরে বলে উঠবো, ‘যদি আবার সেই দিনগুলো ফিরে পেতাম! আমাদের সোনালি শৈশব-কৈশোর!” একই ব্যাচের সব মেয়েরা একই ধরনের শাড়ি পরে পুনর্মিলনীতে অংশ নিবেন। ছেলেরা পরবেন একই ধরনের পোষাক।

এভাবে আনন্দ-আড্ডায় কেটে যাবে দু’টি দিন। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় সবার চোঁখ ছলছল করে উঠবে। বিদায়বেলায় অনেকের কণ্ঠে থাকবে সেই গান, ‘দেখা হবে বন্ধু কারণে-অকারণে…।’

Some text

ক্যাটাগরি: স্মৃতিচারণ

[sharethis-inline-buttons]

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি