আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ‘মেটলাইফ’র অধিভুক্ত সিলেটের ‘কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রতিবাদে ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেছেন ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজারবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সিলেট দরগাগেইটস্থ মেটলাইফ সেলস অফিসের ভিতরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। অনতিবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধান না হলে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেট জেলা শহরের প্রত্যেকটি এজেন্সিতে ধর্মঘট সহ কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে।
এর আগে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে একাধিকবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। এছাড়াও মেটলাইফ চিফ এজেন্সি অফিসার বরাবরে গত ১৮ অক্টোবর ই-মেইল এবং কুরিয়ার মারফত অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং গত শনিবার সিলেটে দায়িত্বরত সেলস ম্যানেজার শামীম আহমদের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যা এখনও কোন সমাধান হয়নি।
ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, ‘কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খান নানা অনিয়ম ও কোম্পানি বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব অপরাধ ধামা চাঁপা দিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে অজিত কুমার ভট্টাচার্য্য (৬৩) ও বিনয় ভূষণ দে (৩৫) নামের দুজন ইউনিট ম্যানেজারের চুক্তি বাতিল করান কবির উদ্দিন। এছাড়াও এই দুই ম্যানেজারের সকল গ্রাহককে কবির উদ্দিন তার নিজস্ব কোডে স্থানান্তরিত করতে অজিত কুমার ও বিনয় ভূষণকে অফিসে প্রবেশ না করার জন্য হুমকি দেন। এমনকি তিনি বাসায় গিয়েও তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাই কবির উদ্দিনের এইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা পথে নেমেছি, প্রতিবাদ করছি। এর সমাধান না হলে আরও কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
আর এরপরও আমাদের এই আন্দোলনকে প্রতিহত করতে কবির উদ্দিন নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এমনকি এসব আন্দোলনরত এফ.এ এবং ইউনিট ম্যানেজারদের বহিস্কার করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এই কবির উদ্দিন। অবিলম্বে অজিত কুমার ভট্টাচার্য্য (৬৩) ও বিনয় ভূষণ দে (৩৫) নামের দুজন ইউনিট ম্যানেজারের বহিস্কারাদেশ বাতিল করে তাদেরকে পূণরায় চাকুরিতে বহাল করার জোর দাবী জানান। অন্যথায় যে কোন উদ্ভট পরিস্থিতির দায়ভার ‘কবির খান এজেন্সি’র ম্যানেজার কবির উদ্দিন খানকেই বহণ করতে হবে। পাশাপাশি সিলেটের সেলস ম্যানেজার শামীমও আহমদও এর দায়বার এড়াতে পারবেন না।
ঘেরাও কর্মসূচীতে একাত্মতা পোষন করে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন কমিশনের সভাপতি সাংবাদিক আ. ম. ন. জামান চৌধুরী, সহ সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আহমদ লিটন, এম. এ. ওয়াহিদ চৌধুরী।
ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মো. শহিদুজ্জামান, মো. রাসেল উজ্জামান, মো. মিজানুর রহমান, শীলা দে, জুবের আহমদ, তাহমিনা আক্তার, মো. সুমন, ওয়াহিদ আকিল, তাজুল ইসলাম, আলী হোসেন, জিয়াউল হক, রইছ মুন্সি, জহির আহমদ খান, আব্দুল্লাহ ফয়সাল, ফয়সল আহমদ, কল্পনা রাণী, নুরুল ইসলাম, এস.ডি সুমেল, সহ শতাধিক ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ও ইউনিট ম্যানেজারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]