একজন পুরুষের সফলতার পিছনে একজন মহীয়সী নারীর অবদান অপরিসীম। জীবনে সফল হতে হলে একজন ধার্মিক ও কর্মতৎপর নারীর ছোঁয়া পেতে হয়। হাদিসে বর্ণিত জান্নাতী কোনো রমণীকে যদি জীবনের হামসফর হিসেবে পাওয়া যায় তাহলে সোনায় সোহাগা। তাই এমন একজন রমণী পেতে রব্বুল আলামীনের নিকট সদা দোয়া করতে হবে।
নিজেকে ও সাজাতে হবে। তারা কতইনা সৌভাগ্যবান যারা জান্নাতের গুণের অধিকারী নারীকে জীবন সফরের সঙ্গী হিসেবে পায়।
আসুন দেখি হাদিসের আলোকে জান্নাতী নারী।
১.
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الْجَنَّةَ ”
উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন নারী তার স্বামীকে খুশী রেখে মারা যায় সে জান্নাতে যাবে।
২.
عَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ».
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
একজন আদর্শ স্ত্রীর বর্ণনা:
আমার স্বামী আমার প্রতি খুশি ও সন্তুষ্ট। কারণ;
০ কাজ থেকে তাঁর ফিরতে দেরী হলে আমি খোঁজ নেই, হালত জানতে চাই এবং কিছুটা অস্থিরতা ও ব্যাকুলতা প্রকাশ করি।
০ তিনি আমার জন্য, ঘরের জন্য যা কিছু কিনে আনেন সেগুলোর প্রশংসা করি।
০ তার পছন্দনীয় খাবার রান্না করি এবং গুরুত্বের সাথে, মহব্বতের অনুভূতির সাথে রান্না করি।
০ কিছুদিন পর পর ঘরের সেটিং পরিবর্তন করি যেন নতুন নতুন দৃশ্যের স্বাদ অনুভব করতে পারি।
০ আমার প্রতিটা কাজে ও সিদ্ধান্তে তাঁকে শরীক করি এবং তার মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করি।
০ মাঝমধ্যে তাঁর গায়ে সুগন্ধি মেখে দেই; বিশেষত শুক্রবারে, জুমুআ’র দিনে।
০ তিনি চাইলে কিংবা আমি সেটা বুঝতে পারলে নিজের মধ্যে, নিজের বাহ্যিক আকৃতিতে নতুনত্ব আনয়নের চেষ্টা করি।
০ চাওয়া ও চাহিদার ক্ষেত্রে এই নীতি মেনে চলি যে, “নারী শুধু স্বামীকে এবং স্বামীর হৃদয়টাকেই চায়। যদি তা পেয়ে যায় তাহলে সবকিছুই পেয়ে যায়।”
তাই এত বেশি চাইনা যে, তিনি বিরক্ত হন কিংবা চাহিদা পূরণ করতে তাঁর কষ্ট হয়।
০ জ্ঞানে-গুণে নিজেকে সবসময় সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করি; যেন ক্ষণে ক্ষণে নতুন কিছু দিয়ে তাঁকে, তার হৃদয়কে উষ্ণ ও উত্তপ্ত করে রাখতে পারি এবং পারি ভালোবাসা ও ভালোলাগার নদীকে করে রাখতে সদা বহমান।
০ সবসময় এই মূলনীতিকে যেহেনে ও উপলব্ধিতে রাখি, ” দুনিয়াবী কোন বিষয় নিয়ে আমরা মতানৈক্য করবো না, বিবাদে জড়াবো না”।
সুতরাং তুচ্ছ খাবার, সামান্য পোশাক, ক্ষণিকের আসবাব এগুলোর কারণে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হতে দেই না।
আব্দুল্লাহ ইদরীস. লেখক, সংবাদকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]