শনিবার রাত ১:৫০, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

নবীনগরে রত্নগর্ভা মায়ের জানাজা সম্পন্ন

৩৮৪ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামেরকবি, লেখক, সুরকার, গীতিকার, গবেষক, সমাজ সংস্কারক, আধ্যাত্বিক গুরু, মিরপুর পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মাষ্টারের (সাহিত্যিক ছদ্ধ নাম শাহী আল সেকাম) এর সহধর্মনীর প্রথম জানাজার নামাজ আজ (৯/২) শনিবার বিকাল ৩টায় মিরপুর গ্রামে ওনার নিজ বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তার জানাজায় অংশগ্রহন করে।

নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.ইকবাল হাসান উক্ত জানাজায় অংশ গ্রহন করে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাসুম এর পক্ষে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন সরকার এই মহিয়ুসী নারীর চলে যাওয়ার ক্ষতি কিছুতেই পূরন করা সম্ভব নয় বলে ব্যক্ত করেন।শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সাবেক সভাপতি অলিওর রহমান ভূইঞা সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।জানাজা শেষে ২য় জানজার জন্য মরহুমার মরদেহটি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায় এবং সেখানে রাত ৯টায় জানাজার পর ওনার নিজের চাওয়া অনুযায়ী ঢাকায় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে হাজার হাজার মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে নূরনগর জনপদের এই যুগের শ্রেষ্ঠ মহিয়ুসী এই নারীর ঢাকা থেকে আগত মরদেহটি একনজরে দেখার জন্য তার নিজ বাড়ীতে অপেক্ষা করতে থাকে। অবশেষে বিকাল ৩টায় মরদেহটি বাড়ীতে এসে পৌঁছালে মিরপুরের আকাশ যেন উপচেপড়া মানুষের কান্নায় ভারী হতে থাকে।

আজ থেকে প্রায় ৬৫বছর আগে নবীনগর থানার সর্ব দক্ষিণে বাঙ্গরা ইউনিয়নের ভলিঘর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম হয়।মাত্র ষোল বছর বয়সে মিরপুরের আবুল কাশেম মাস্টারের সাথে তার বিয়ে হয়।অত্যন্ত নম্র,ভদ্র,অতিথীপরায়নতা, পর্দানশীলতা,ইবাদত বন্দেগীতে অত্যন্ত পরহেজগার হিসেবে সুখ্যাতি এলাকায় তার কাছের মানুষের কাছে শুনতে পাওয়া যায়।

৬৫ বছর বয়সে এই মহিয়ুসী নারীর প্রয়াণে নূরনগরের মানুষের হঠাৎ আসা এই ক্ষতি হয়ত খুব শীঘ্রই পূরন করা সম্ভব হবে না।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী আবুল কাশেম মাষ্টার,তিন ছেলে যথা(সাফিউল সারোয়ার, এডিশনাল এসপি বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়াটার,জনাব আশরাফুল আফসার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,কক্সবাজার জেলা এবং উপসচিব মর্যাদাপ্রাপ্ত,ছোট ছেলে আলাউল আকবর,সিনিয়র জুডিশিয়াল জর্জ,কক্সবাজার আদালত,এবং এক মেয়ে মোছা.শামীমা আক্তার)সহ অসংখ গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্ল্যেখ আজ ভোর ৬(ছয়)টায় দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত এক জটিল রোগে তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

লিটন আহমেদ : নবীনগর থেকে

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি