বুধবার রাত ১২:৪৬, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

প্রাকৃতিক রুপ লাবণ্যে ও সৌন্দর্যে ভরা ঘাগুটিয়া পদ্মবিল

৭২৮ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী ঘাগুটিয়া পদ্মবিলে শরতের বাতাসে দোল খাচ্ছে তিন প্রজাতির পদ্মফুল, শরতের প্রকৃতিতে সেজেছে অপরূপ সাজে আখাউড়ার সীমান্তবর্তী এই ঘাগুটিয়া পদ্মবিল।

ঘাগুটিয়ার এ বিলে ফুটেছে তিন প্রজাতির পদ্ম গোলাপি, হলুদ ও সাদা রঙের পদ্মফুল সরেজমিনে আজ শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামে গেলে দেখা যায় জলাশয়ে ভাসছে প্রায় তিন জাতের এসব পদ্ম ফুল। তা দেখে শিশু, বৃদ্ধ, কিশোর-কিশোরী, কাপলরা সহ নানা বয়সের মানুষ এখানে প্রতিদিন সকাল বিকাল ভীড় জমায়।

দক্ষিণা বাতাসে মন ভালো হয়ে যায় সব বয়সের মানুষের প্রকৃতির মাঝে মানুষ খুজে পায় তাদের হারিয়ে যাওয়া শৈশব, ঘাগুটিয়া পদ্মবিলের আশপাশে সেই ভালোবাসারই চাষবাস হচ্ছে বলে জানান ঘুরতে আসা মানুষজন।

স্থানীয়রা জানায় শরৎ কালে এ জলাশয়ে ফুটে ওঠে গোলাপি, সাদা আর হলুদ পদ্মফুল, দখিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে দেখে মন ভরে যায় সবার, বাতাসে পদ্ম ফুলের ওপর ওড়াউড়ি করছে নানা প্রজাতির পাখী। পাখীদের কিচির মিচির শব্দে মুগ্ধ আশপাশের শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধরা সহ স্থানীয়রা।

প্রতিদিন এখানে ঘুরতে আসে নানা বয়সের মানুষ এদের মধ্যে কেউ কেউ পৌঁছে যায় পদ্মবিলের মাঝখানে, প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে ভ্রমণপিপাসুরা এখানে এসে মনের আনন্দে উপভোগ করছে পদ্ম ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শরৎ আসে, প্রকৃতিগতভাবেই ফুটে ওঠে এসব পদ্ম ফুল। পদ্ম ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Nelumbo nucifera। গোত্রের নাম নিমফেসি।

শ্রীমঙ্গলের মৌলভী বাজার থেকে আসা হৃদয় আহমেদ জানান ফেজবুকের মাধ্যমে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করেছি কিন্তু প্রতিদিন ফেজবুকে এসব পোষ্ট দেখে দেখে মনকে আর থামিয়ে রাখতে পারেনি তায় চলে এলাম এখানকার সৌন্দর্য সরাসরি উপভোগ করতে।

কসবা উপজেলার খাড়েরা থেকে ঘুরতে আসা মনিয়ন্দ ৭নং ওয়ার্ডের হারুণ মেম্বারের ভাতিজি-ভাতিজারা বলেন, ঘুরতে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা নৌকা করে জলাশয়ের মাঝখানে গিয়ে পদ্মফুল ছিড়ে এখানকার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে তাদের দাবি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন নজর দিলেই এখানে আর কেউ ফুল ছিড়ে প্রকৃতির এ অপার সৌন্দর্য নষ্ট করবেনা, পদ্মবিলের আশ-পাশে বিভিন্ন জায়গায় ফুল না ছেড়ার বিষয়ে বিভিন্ন সাইনবোর্ড স্থাপন করলে মানুষ কিছুটা সচেতন হবে বলেও তিনি দাবি করেন।

ঘুরতে আসা আরেক দর্শনার্থী বলেন, এখানের সৌন্দর্যের কথা অনেক শোনেছেন তিনি শোনে আজ ভাই-বোনদের নিয়ে এসেছেন প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে, ফুল না ছেড়ার আহবান করে তিনি বলেন, পদ্মবিলের সৌন্দর্যের টানে এখানে প্রতিদিন ছুটে আসে নানা বয়সের মানুষ।

যাতায়াতঃ- আখাউড়া শহর থেকে মোগড়া-কর্ণেল বাজার-তুলাই শিমুল হয়ে সিএনজি, অটোরিক্সা যোগে যেতে হয় প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য ভরা ঘাগুটিয়া পদ্মবিলে

Some text

ক্যাটাগরি: খবর

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি